চট্টগ্রাম: সকাল ৯টা পর্যন্ত পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করেছে মাত্র ২৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি। কর্ণফুলী নদীর জোয়ার, বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে বেহাল দশা নগরের নিম্নাঞ্চলে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালের চিত্রটা ছিল এমনই।
জামালখান মোড়ে কথা হয় অভিবাবক রওশন আকতারের সঙ্গে। সন্তানকে রেইনকোট পরিয়ে, নিজে বড় ছাড়া মাথায় দিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। বললেন, এক সপ্তাহ ধরে কষ্ট পাচ্ছি বৃষ্টি, কাদামাটি আর পানির সঙ্গে নেমে আসা পাহাড়ি বালুতে। ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকলে স্কুল বন্ধ রাখলে ভালো হতো। সারাক্ষণ টেনশন আর টেনশন।
আগ্রাবাদ শান্তিবাগ আবাসিকের বাসিন্দা আবদুল কাদের জানান, জোয়ার ও বৃষ্টির পানি থেকে সড়ক বাঁচাতে উঁচু করা হয় নিয়মিত। কিন্তু সড়কের দুই পাশের অলিগলি, বাড়িঘরের নিচতলা যে গলাপর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে সেদিকে নজর নেই। যতদ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পুরো নগরকে সুরক্ষিত করতে হবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশীদ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৯ দশমিক ২ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সতর্ক সংকেত নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণের মধ্যে বন্দরের জেটি, টার্মিনাল, শেড ও অফডকে পণ্য ও কনটেইনার খালাসের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বহির্নোঙরেও বড় জাহাজের পাইলটের নির্দেশনা অনুযায়ী ছোট জাহাজে পণ্য খালাস স্বাভাবিক রয়েছে। যথারীতি বহির্নোঙর থেকে জেটিতে জোয়ারের সময় জাহাজ আনা-নেওয়া চলছে।
দুপুরে উঁকি দিল সূর্য
তিন-চার দিন পর মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে সূর্যের দেখা পেলেন নগরবাসী। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা এ সময় ভিজে যাওয়া জিনিসপত্র, কাপড়-চোপড় শুকাতে দেন। ধুয়ে মুখে পরিষ্কার করেন ঘরের মেঝে। খেটে খাওয়া মানুষ, পথচারী ও যাত্রীরা ফেলে স্বস্তির নিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা জুন ২১, ২০২২
এআর/টিসি