ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

কলকাতা: ইন্টারনেট কার্যকলাপের উপর নজরদারি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, তাদের তরফ থেকে ‘সাইবার পেট্রোল সেল’ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

এই  প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠান হয়েছে। মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

তবে এই নজরদারি শুধু নাশকতামূলক কাজে যুক্ত সন্ত্রাসীদের চক্রান্ত বানচাল করার জন্য বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, এই কাজে ৯৬ জন প্রশিক্ষিত কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে সরকারি নোটিশও প্রকাশ হয়ে গেছে।

তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে নজরে রাখা নয়, রাজ্য সরকারের নেতা নেত্রীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হচ্ছে, তার লাগাম টানতে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বছর দুই আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের দুই নেতা মুকুল রায় ও দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে করা একটি ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত।

ব্যঙ্গচিত্রটি ফেসবুকে শেয়ারের দায়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে হাজতবাস করতে হয়েছিল। কিন্তু এর ফলাফল হয়েছিল উল্টো। এই ঘটনার পরেই সরকার বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র এবং বিদ্রূপাত্মক সমালোচনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল।

বিরোধীদের মতে, সে কারণেই এই লাগাম টানার প্রস্তুতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।

তবে সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের মতে, এই ধরনের নজরদারি বেশির ভাগ সময়েই, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে। তাদের দাবি, শুধু পশ্চিমবঙ্গের সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নয়, ভারতের অন্য নেতা-মন্ত্রীদের নিয়েও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়।

তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকের বলছেন, সন্ত্রাসবাদীরা অনেক সময়য়ই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের নজরদারি প্রয়োজন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।