ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩১, ৩০ জুলাই ২০২৪, ২৩ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইউরোপে ফের পান রপ্তানি শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
ইউরোপে ফের পান রপ্তানি শুরু

ঢাকা: নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে রপ্তানি হচ্ছে এক মেট্রিক টন পান।

ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুল রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ইউরোপসহ উন্নত দেশে অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ অব্যাহত আছে। কৃষিপণ্যের সম্ভাবনা অনেক, রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে একদিকে কৃষক লাভবান হবে অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।

বুধবার (২৬ মে) ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে ‘ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রপ্তানি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরলস উদ্যোগের ফলে ইউরোপে পান রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। এটি খুবই আশার কথা। ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশে অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব থেকে সনদ দেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। ফলে, আমরা আশা করছি, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বিরাট ভূমিকা রাখবে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। কৃষকও লাভবান হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, আমাদের রপ্তানির বড় উৎস পোশাকখাত (আরএমজি)। আমরা দেশের কৃষিখাতকে এগিয়ে নিতে চাই। অচিরেই রপ্তানিতে বড় ভূমিকা রাখবে কৃষি। জাপান ইতোমধ্যে আমাদের ওল কচু, আম, মিষ্টি আলু আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে মিষ্টি আলু রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমাদের পাটখড়ির ছাই রপ্তানি হচ্ছে চীনে।

যেকোনো অনুষ্ঠানে আর্টিফিশিয়াল ফুল বা কাগজের মালার পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফুলের ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেগুলো আমাদের পরিবেশ ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেগুলোর ব্যবহার আমরা কেন করব? আমরা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে এমন প্রাকৃতিক জিনিসই ব্যবহার করব সবাই।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ড পোল্ট্রি শিল্প থেকে বড় ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এ খাতে আমাদেরও সম্ভাবনা আছে। আমাদের পরে স্বাধীনতা লাভ করেছে ভিয়েতনাম। অথচ তারা শুধু কৃষিতেই ৪০ বিলিয়ন ডলারের সবজি রপ্তানি করে। আমাদের সে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। হিট ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সবজি ও আম রপ্তানি করা যাবে নিরাপদে। নিরাপদ ফল ও সবজি রপ্তানিতে হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এগিয়েছে, তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকটা পিছিয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন ও বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের  (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ। নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান উৎপাদন ও রপ্তানির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক সামছুল আলম ও বিএফভিএপিইএ’র অ্যাডভাইজার মনজুরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।