ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনলাইনে প্রতারণামূলক উচ্চ সুদের ঋণদান কার্যক্রম বন্ধের দাবি টিক্যাবের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
অনলাইনে প্রতারণামূলক উচ্চ সুদের ঋণদান কার্যক্রম বন্ধের দাবি টিক্যাবের

ঢাকা: অনলাইনে অ্যাপস ব্যবহার করে র‌্যাপিড ক্যাশ, টাকাওয়ালা, স্বাধীন, ক্যাশ ক্যাশ, ক্যাশম্যানসহ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের অবৈধ, উচ্চ সুদ হারের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

শনিবার (২৬ জুন) টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

টিক্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে ঋণ বিতরণের এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমতি নেই সরকারের অন্য কোনো দপ্তরের। তারপরও দিনের পর দিন বিনা বাধায় প্রতারক চক্রগুলো গ্রাহকদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম ভেদে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে তারা। ঋণ দেয়ার শর্ত স্বরূপ গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, এনআইডি কার্ড, ছবি, পেশাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নেয়া হলেও দেয়া হচ্ছে না ঋণদাতার কোনো তথ্য।

টিক্যাব জানায়, এসব অ্যাপ থেকে ২ হাজার টাকা ঋণ নিলে গ্রাহক পাচ্ছে ১ হাজার ৬৮৫ টাকা। নানা অজুহাতে কেটে নেয়া হচ্ছে ৩১৫ টাকা। বলা হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ ১২০ টাকা, ডাটা অ্যানালাইসিস ফি ১৮০ টাকা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ টাকা এবং সুদ বাবদ ৫ টাকা কেটে রাখা হয়। অর্থাৎ ২ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হচ্ছে ২০০৫ টাকা। তবে পরিমাণ যত বেশি হয় টাকা কেটে রাখার প্রবণতাও তত বেশি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে প্রতিদিন ১২০ টাকা হারে চক্রবৃদ্ধিতে বাড়ছে সুদ।

‘এছাড়া বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে এ ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। বেশিরভাগ প্লাটফর্মেরই কোনো অফিসের ঠিকানা নেই, অনেকের থাকলেও সে সব ভুয়া। গ্রাহদের হাজারো অভিযোগ থাকলেও অবৈধভাবে ঋণদানের এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ’

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে এসকল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এবং গ্রাহদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানায় টিক্যাব। একইসঙ্গে গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষায় ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। এগুলো হলো- অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনহীন অনলাইনে ঋণ দেয়ার এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা; বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে তারা যাতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এসব অ্যাপস ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)’র মাধ্যমে এ প্রচারণা ও তাদের অ্যাপস বন্ধ করা; প্রতারক চক্র যাতে হাতিয়ে নেয়া গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপপ্রয়োগ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং উচ্চ সুদে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া বাড়তি অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদান করাসহ অবিলম্বে এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
এইচএমএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।