ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পানি-নিরাপত্তা সংকট

পরিত্যক্ত ভবনে বাস বাকৃবির ৯২ ছাত্রীর

মো. আশরাফুল আলম, বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
পরিত্যক্ত ভবনে বাস বাকৃবির ৯২ ছাত্রীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি: স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়া একটি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ৯২ জন ছাত্রীর।

কিন্তু পরিত্যক্ত ওই ‘চাষি ভবন’-এ রয়েছে পানির সমস্যা।

সেইসঙ্গে রয়েছে খাবার সমস্যা ও যথাযথ নিরাপত্তার অভাব। ফলে অনেকটা মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে এসব ছাত্রীদের।

তবে ছাত্রীদের এসব সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্ণপাত না করায় শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে আন্দোলনে নেমেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।

সূত্র জানায়,  ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে প্রায় ৪৫ শতাংশ ছাত্রী ভর্তি হয়। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে  আবাসন সংকট থাকায় ৯২ জন ছাত্রীকে চাষি ভবন নামে টিনশেড একটি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। পরিত্যক্ত হয়ে পড়া চাষি ভবনে আগে প্রশিক্ষণের জন্য আসা চাষিদের থাকার ব্যবস্থা ছিল।

ছাত্রীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পানি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই তাদের চাষি ভবনে উঠানো হয়েছে। হলের সীমানা প্রাচীর নিচু হওয়ায় বাইরে থেকে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম অনেকটাই দেখা যায়। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা।

তারা জানান, পানি সমস্যা থাকায় তাদের বাইরে থেকে ড্রামে করে পানি আনতে হয়। ডাইনিংয়েও খাবারের দাম বেশি।

ছাত্রীরা জানান, ভবন ও বাথরুম পরিষ্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মী নেই। হল সুপারভাইজার হলে নিয়মিত আসেন না। প্রভোস্ট গাড়ি করে এসে গাড়িতেই চলে যান। অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন না। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্রীদেরই বাথরুম পরিষ্কার ও কক্ষ পরিষ্কার করতে হয়।
চাষি ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, ছাত্রীরা বললে তারা  পাশের মোড়ের বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার এনে দে তারা। হলে খাবার পানি না থাকায় বাইরে থেকে ড্রামে করে পানিও এনে দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, পানির লাইনে সমস্যা থাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে বিষয়টি জানার পর পানির সরবরাহ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই হলে আমাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। নিরাপত্তার নিয়ে ছাত্রীদের উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই।

অপরদিকে, স্থান সংকটের কারণে তাপসী রাবেয়া হলের কিছু ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারের তৃতীয় তলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।