রাজশাহী: অবশেষে উঁকি দিয়েছে সূর্য। দুই দিনের ঘন কুয়াশা ভেদ করে রাজশাহীতে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেখা গেলো সূর্য হাসি।
শনিবার ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ মাত্র এক দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ দশমিক ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। একইসঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। তবে দুপুর ১২টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বাংলানিউজকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে নামছে তাপমাত্রার পারদ। রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
![](http://banglanews24.com/public/userfiles/images/8-12-2020-AYSHA/RAJ_bg-1.jpg)
এদিকে কনকনে শীতের মধ্যে উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত বস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন যাপন করছেন ছিন্নমূল মানুষগুলো। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। কাজের সন্ধানে সকাল সকাল ঘর থেকে বের হওয়া মানুষগুলোও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
হঠাৎ করে শীত বাড়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে নবজাতক এবং বৃদ্ধ মানুষ ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের জরুরিবিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল হক জানান, হঠাৎই ঠাণ্ডা বেড়েছে। তাই হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, অ্যাজমা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলেও জানান এই চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এসএস/এএটি