নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া গ্রামের নদীর চরে শীতের সকাল। কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘের আড়াল থেকে সূর্যের আলো ছুঁয়ে যাচ্ছে শরফত আলীর তিন কানি জমিকে।
লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, পুঁইশাকসহ নানা রঙের শাকসবজি গাছগুলো হাসি মুখে সূর্যের আলো গ্রহণ করছে। শরফত আলী ও তার মা মিলে এ সবুজ জগতে স্বপ্ন বুনছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও শীতের আগমনে শরফত আলীর বাড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে। নদীর চরে এ জমি তাদের পরিবারের জন্য আশীর্বাদ। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে যাওয়া এ জমি শীতের আগমনেই পরিণত হয় সবুজের সমারোহে।
শরফত আলী বলেন, বাবার কাছ থেকে চাষাবাদ শিখেছি। শীতকালে এ শাকসবজির বেশ চাহিদা থাকে। অনেকে সরাসরি আমাদের কাছ থেকেই কিনে নিয়ে যায়। বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর ফসল তৈরি হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারব।
নদীর চরের এ জমিতে সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বর্ষায় পানির সঙ্গে পলিমাটি জমে যায়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়। প্রকৃতির এ উপহারকে কাজে লাগিয়ে শরফত আলীরা নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
শরফত আলীর মতো অনেকেই রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শাকসবজি চাষে ব্যস্ত। বাংলাদেশে শীতকালে বেশিরভাগ শাকসবজি উৎপাদিত হয়। এদের অনেকে নিজের বা অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা করছেন এবং শীত মৌসুম এলে তারা ভালো লাভও করেন।
শরফত আলীর মা ও ছেলে মিলে এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের মুখে স্বপ্নের আঁচ। এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে পরিবারের জীবনমান আরও উন্নত হবে।
এ ছোট্ট পরিবারের কাছে শীতকাল মানে শুধু হিমেল হাওয়া নয়, এটি মানে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
জেএইচ