কলকাতা: ৮ মার্চ নারী দিবস। তার আগে নারীদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় জনসভা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবারও (৬ মার্চ) মোদির বক্তব্যে উঠে এলো পশ্চিমবঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। যেখানে তৃণমূল নেতা ধৃত শেখ শাহাজান ও তার দলবল নারীদের উপর দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলার মা বোনেদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় অত্যাচার করছে। তৃণমূল তার অত্যাচারিত নেতার উপর ভরসা রাখতে পারে, কিন্তু বাংলার মা-বোনেদের উপর তৃণমূলের কোনো ভরসা নেই।
নিজের পরিবার প্রসঙ্গে মোদি বলেছেন, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া আমার সাঙ্গে না পেরে এখন আমার পরিবার নিয়ে পড়েছে। বিরোধীরা আমার পরিবার নিয়ে প্রশ্ন করছে। জনসভা থেকে, বাংলায় মোদি বলেছেন, ‘ওরা জানতে চায় মোদির পরিবার কোথায়। ’ সেই মুহূর্তে শ্রোতারা সবাই হাত তুলে বলতে থাকে আমরাই আপনার পরিবার। এরপরে মোদি নিজের ভঙ্গিমায় বলেছেন, যারা আমার পরিবার নিয়ে প্রশ্ন করছে, তারা এই জনসভার আশপাশ দেখুক। ‘এহি তো হ্যায় মোদি কা পরিবার’, এই জনসংখ্যায় বিশাল উপস্থিতি মা-বোনেরা আমার পরিবার। গোটা দেশ আমার। বাংলার নারীরা দুর্গা হয়ে আমার পাশে আছে।
এদিন সন্দেশখালির নির্যাতিত নারীরা উপস্থিত ছিলেন মোদীর জনসভায়। যারা এক সময় তৃণমূল পন্থী ছিলেন। সন্দেশখালি সেসব নারীরা বলেছেন, ন’টা বাস ভরে আমরা আসছিলাম। কিন্তু, পথে পুলিশ সব বাস আটকে দেয়। মাত্র একটা বাস এই জনসভায় আসতে পেরেছে। সবদিক দিয়ে আমাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। কথা বলতে দিচ্ছে না। এখানে আসতে দিচ্ছিল না।
এ দিনের জনসভায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নারী উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ। এদিনের সম্প্রচার ভারতের ৪ হাজার ১৬১ জায়গায় লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। ফলে সবমিলিয়ে ভারতে ভোটের তফসিল ঘোষণার আগেই সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ ২০২৪
ভিএস/এমএম