ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতারে সম্প্রীতির মেলবন্ধন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৪
ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতারে সম্প্রীতির মেলবন্ধন 

কলকাতা: সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ইফতার। ইফতার শুধু রোজা ভাঙার উপলক্ষই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে একটি ঐতিহ্যও।

গত বছর মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় রীতিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। গর্বের সেই রীতিকে সম্প্রীতির বার্তার মোড়কে ইফতার মাফফিলের আয়োজন করল কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব।

রোবাবার (৭ এপ্রিল) ‘বাংলার সম্প্রীতি বজায় থাক বাঙালির হাত ধরে’ শিরোনামে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে প্রেসক্লাব। যেখানে অংশ নেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন।

কলকাতার বিভিন্ন প্রেসক্লাব অন্যান্য অনুষ্ঠান করলেও ইফতারের আয়োজন করে না। ফলে ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। গতবার ছোট পরিসরে করলেও মানুষের উপস্থিতি বিপুল সাড়া ফেলেছিল। আর তাতেই উদ্যম পায় বাংলাদেশ গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধিদের সংগঠন ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব।

এবার তাই বড় পরিসরে রোববার কলকাতার আভিজাত হোটেল স্প্রিং ক্লাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলাসহ বহু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

পাশাপাশি ইফতারে অংশ নেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, কবি সুবোধ সরকার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ইমন কল্যাণ লাহিড়ী, হাইকোর্টের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অরিজিত চক্রবর্তী, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, এএমআরআই হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া, আরএনটেগোর হাসপাতালের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান জয়ন্ত মুখার্জি, কলকাতা বইমেলার সভাপতি সুধাংশু দে, সম্পাদক ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায়সহ মারক্যূইস স্ট্রিটের হোটেল ব্যবসায়ী, ট্রাভেলার, বাসমালিক, রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের আইটি বিভাগের কর্মকর্তাসহ আরও অনেক গণ্যমান্যরা।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অধ্যাপকরাও ইফতারে অংশ নিয়েছেন। তবে ভারতে ভোটের কারণে সেভাবে অংশ নিতে পারেনি কলকাতা ও দিল্লির বহু সাংবাদিক। অসুস্থতার কারণে অংশ নিতে পারেনি সঙ্গীতশিল্পি কবীর সুমন। তবে তিনি পাশে থাকার শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন।

ইফতারের আয়োজন ছিল কলকাতার আদলে। খেজুর, ফল, মুড়ি, বোদে, ভাজাপোড়া, ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, পাঠার মাংস, দই, মিষ্টি আইক্রিম ও বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার বলেছেন, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতারের আয়োজন আবারো প্রমাণ করলো সম্প্রীতি কীভাবে ধরে রাখতে হয়। ক্লাবের সদস্যরা তা জানেন। একসঙ্গে বসে খাবার ভাগ করে খেলে যে আনন্দ হয় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়, তা আর কোনোভাবে হয় না। যে সংযোগ তৈরি হয় তাও অন্য কোনোভাবে হয় না। ইফতার সম্প্রীতি বন্ধন দৃঢ় করে।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতি। তারা সব সময় অন্যরকম অয়োজন করে থাকে, যা কলকাতায় সেভাবে দেখা যায় না। এর আগেও তারা ভাষাকে ভালোবেসে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তদান শিবির করেছিল। আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।