ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মোদীই প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কে হবেন বিরোধীদলীয় নেতা?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
মোদীই প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কে হবেন বিরোধীদলীয় নেতা?

কলকাতা: ২৯৩ আসন পেয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে চলেছে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি জোট এনডিএ। কংগ্রেস নেতৃত্বধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।

আবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০ আসন। ফলে গোটা ইন্ডিয়া জোট যা পেয়েছে, তার থেকেও এগিয়ে বিজেপি। যে কারণে নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে, সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপির এনডিএ। এতদিন নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ছিল বিজেপির হাতে। ফলে বাকি শরিকরা খুব একটা পাত্তা পেত না। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সব দলই কমবেশি মন্ত্রীত্ব চেয়ে বসেছে। এখন দেখার কিভাবে বিষয়গুলো ম্যানেজ করে বিজেপি।

তবে মোদীই যে ১৮তম লোকসভার প্রধানমন্ত্রী, তা নিশ্চিত। সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ জুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে। এবং সেই দিন ধরে নিয়েই একাধিক প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলেই যাতে নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয়বার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে থাকে, তা নিয়েও ফোন মারফত রাষ্ট্রনেতাদের সাথে আলাপ চলছে বলে, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, মরিশাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারেন মোদীর শপথ গ্রহণে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও নাকি কথা হয়েছে মোদীর। তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে, সূত্রের খবর। সেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অতিথি তালিকায় নাম রয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জুগনাথের। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মোদীর শপথ গ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবারই(৬ জুন) এই রাষ্ট্রনেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে, জানা গিয়েছে।

অপরদিকে, বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে ছিল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন জোটের প্রায় সব দলের প্রতিনিধিরা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের বাসভবনে হাজির হয়েছিলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই চলে অভিষেক-অখিলেশ বৈঠক। প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয় তাদের মধ্যে। বৈঠকে কী কথা হল, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। আবার অভিষেক ফেরার পর অখিলেশ বাসভবনে হাজির হন আম আদমিন পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা। যদিও সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে সকলেই সাংবাদিক থেকে এড়িয়ে গেছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, সংসদ ভবনে কে হবেন বিরোধী দলনেতা, তাই নিয়েই জোড় জল্পনা চলছে। হিসেব অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের অন্যকোনো নেতৃত্ব স্থানীয়র বিরোধী নেতা হওয়া উচিত। কারণ কংগ্রেসের ঝুলিতে রয়েছে  ৯৯ আসন। এরপর আছে সমাজবাদী পার্টি(সপা) নেতা অখিলেশ যাদব। কারণ তাদের আসন সংখ্যা ৩৭। তারপরেই আছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস। যাদের আসন সংখ্যা ২৯টি। মমতা মুখ্যমন্ত্রী, ফলে বিরোধী আসনে ক্ষেত্রে তার ভাতিজা অভিষেকের পথ খোলা। কে হবেন বিরোধী দলনেতা, তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যেই জোর জ্বল্পনা চলছে।

বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছিলেন, ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা করেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। তিনি বলেছেন, সংবিধান বাঁচানোর লক্ষ্যে মানুষ ভোট দিয়েছে। ইন্ডিয়া জোট মোদির স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন  ০৬,২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।