ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ফুলেল শ্রদ্ধায় তরুণ সান্যালের শেষ বিদায় 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
ফুলেল শ্রদ্ধায় তরুণ সান্যালের শেষ বিদায়  ফুলেল শ্রদ্ধায় তরুণ সান্যালের শেষ বিদায়-ছবি-বাংলানিউজ

কলকাতা: নাগরিক সমাজের অন্যতম মুখ বুদ্ধিজীবী তরুণ সান্যাল মারা গেছেন। সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে কলকাতার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

তার জন্ম ১৯৩২ সালে বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাশ করার পরে শিক্ষকতা শুরু করেন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে।

১৯৫৭ সালে অল্প সময়ের জন্য বালুরঘাট কলেজে অধ্যাপনা শুরু করলেও পুলিশ রিপোর্টে চাকরি চলে যায় তার। পরে ১৯৫৮ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি।
 
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তার প্রয়াণে বাংলা সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। শোক জানান সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কলেজ স্কোয়ারে তার মরদেহ রাখা হয় শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সেখানে বহু বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপকদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান অসংখ্য ভক্ত।
 
পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনের পক্ষ থেকে প্রথম সচিব মোফাকখারুল ইকবাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত ও প্রখ্যাত কবি ও অধ্যাপক তরুণ সান্যালের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না। ’ শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখান থেকে স্কটিশ চার্চ কলেজ হয়ে কাশী মিত্র শ্মশান ঘাটে তার শেষকৃত্য করা হয়।
 
রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রান্ত কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ তরুণ সান্যাল ছিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের পর্ব থেকে রাজ্যে পরিবর্তনপন্থীদের অন্যতম মুখ। যদিও তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান সরকারের সঙ্গে তার মতপার্থক্য সামনে আসে। বহু প্রশ্নেই রাজ্যের বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। কবি ছাড়াও প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। সম্পাদনা করেছেন একতা, কবিপত্র, সীমান্ত, পরিচয়, সপ্তাহ-র মতো পত্রিকা। ২০০৭ সাল থেকে তিনি ছিলেন বুদ্ধিজীবী মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে মাটির বেহালা, অন্ধকার উদ্যানে যে নদী, রণক্ষেত্রে দীর্ঘবেলা একা, তোমার জন্যই বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
ভিএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।