ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

অ্যাসিড-কাপের পর এবার মোনালিসার ছবিতে কেক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
অ্যাসিড-কাপের পর এবার মোনালিসার ছবিতে কেক! ক্রিম কেক ছোড়ার পর মোনালিসা।

বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পকলা জাদুঘর হিসেবে পরিচিত ল্যুভর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সেন নদীর তীরে অবস্থিত জাদুঘরটি প্রায় আট লাখ বর্গফুটের।

এতে রয়েছে অনেক বিখ্যাত শিল্পকর্ম। এর মধ্যে আছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সাড়া জাগানো পোট্রেট ‘মোনালিসা’। ভিঞ্চি এই চিত্রকর্মে কাকে এঁকেছেন, তা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।  

সম্প্রতি মোনালিসার ছবি নিয়ে ঘটেছে বিচিত্র ঘটনা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, মাথায় পরচুলা পরে বৃদ্ধা সেজে এক যুবক মোনালিসার ছবিতে সাদা ক্রিম কেক ছুড়ে মেরেছেন। এর আগে বৃদ্ধা সেজে হুইল চেয়ারে করে জাদুঘরে ঢুকে পড়েন ওই যুবক। মোনালিসার ছবির একেবারে সামনে গিয়েই সাদা ক্রিম কেক ছুড়ে মারেন তিনি।

এ ঘটনার পর যদিও ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি অক্ষত আছে। যেহেতু ছবিটি একটি সুরক্ষা কেসের রাখা। ফলে কেকের ক্রিম গিয়ে ছবির সামনের কাচে লেগেছে। তবে বৃদ্ধা সাজা ওই যুবকের মানসিক সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ওই যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি চিৎকার করে বলছিলেন: ‘পৃথিবীর কথা ভাবো। কিছু মানুষ পৃথিবী ধ্বংস করতে চাইছে। ’

গত শতকের পাঁচের দশক থেকে মোনালিসাকে সুরক্ষা কেসে রাখা হয়। এর আগে ছবিটির দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়েছিল। ২০০৯ সালে এক নারী ছবিটি লক্ষ্য করে কাচের কাপও ছুড়ে মারেন। তবে সুরক্ষা কেসে লেগে কাপটি ভেঙে যায়।

ল্যুভরে মোনালিসার ছবি স্থায়ীভাবে রাখা আছে। ষোড়শ শতকে ফ্রান্সের রাজা প্রথম ফ্রান্সিস এই ছবিকে দেশের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করেছিলেন।

ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি নিয়ে কাজ করেছিলেন ১৫০৩ সাল থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত। শুরু করেছিলেন ইতালির ফ্লোরেন্সে, তারপর ফ্রান্সে। কিন্তু তিনি আসলে কার পোট্রেট তৈরি করেছিলেন সেই প্রশ্ন মোনালিসার হাসির মতোই রহস্য হয়ে আছে। তবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যা হলো- পোট্রেটের এই নারী ফ্লোরেন্সের তৎকালীন একজন সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী, যার নাম লিসা গেরারদিনি।

তবে এই তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন প্যারিসের একজন বিজ্ঞানী পাসকাল কোট। ২০০৪ সালে ল্যুভর কর্তৃপক্ষ তাকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে এই পোট্রেটের ছবি তোলার সুযোগ করে দেয়। দীর্ঘদিন বিশেষ আলো এবং লেন্সের প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণার পর এই বিজ্ঞানী বলেছেন, পোট্রেটের নারী লিসা গেরারদিনি নন, অন্য কেউ।

১৭৯৩ সালের ১০ আগস্ট ৫৩৭টি চিত্রকর্মের একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বোধন করা ল্যুভর জাদুঘর। এরপর ধীরে ধীরে সেখানে যোগ হয় প্রায় ২০ হাজার শিল্পকর্ম। তবে ধারাবাহিক অনুদান ও অধিকৃতির মাধ্যমে জাদুঘরের সংগ্রহের আয়তন ক্রমাগত বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।