যে কোনো দিন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এর ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল।
এর আগে গত বছরের শুরুতে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে ছিল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, মামলাটি এখন নতুনভাবে আবার শুনানি হবে।
এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।
তাদের মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।
এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলার মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
হাইকোর্টের শুনানিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ হাসান সুমনের পক্ষে সুজিত চ্যাটার্জি, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাতুল্লাহ ওরফে জুয়েলের পক্ষে আইনজীবী মো. আজিজুল হক হাওলাদার, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৫ আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত কৌঁসুলি এসএম শফিকুল ইসলাম ছিলেন। আর আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওইদিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
ইএস/এএ