সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদী সদর উপজেলার কুড়েরপাড় এলাকার আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, ফিরোজ মিয়া, জিলহজ্ব ওরফে জুহাস, আতাউর রহমান ও আকবর আলী।
এদিকে, সাহাব উদ্দিন নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। তাই এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
পাশাপাশি এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত গোলাপের পরিবার। তারা আসামিদের মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাঁচদোনা থেকে ওষুধ নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন গোলাপ হোসেন (৩০)। তিনদিন পর পাঁচদোনা ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে তার হাতের একটি অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এর পাশে কাদা মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহের কিছু অংশ দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের মাথাসহ ১০টি টুকরা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত গোলাপের বড় ভাই মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোস্তফা হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
আরএ/টিএ