আইন বিচার ও সংসদ বিচারক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ বিনামূল্যে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এ টাকা আদায় করে দিয়েছে। সংস্থারটির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মামলা পূর্ব বিরোধ (প্রি কেইস) এবং চলমান মামলায় (পোস্ট কেইস) মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সর্বমোট ৭,৭৯৭ টি (ফ্রি কেইস-পোস্ট কেইস) নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৬,৯১৫ জন উপকারভোগীকে সফলভাবে বিরোধ ও মামলা নিষ্পত্তিতে সহায়তা করতে পেরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের আইনগত দাবি/পাওনার প্রেক্ষিতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সর্বমোট ৮,৩৫,০৯,৪৫৪ টাকা (৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৪শ’ ৫৪ টাকা) আদায় করে দিয়েছে।
২০১৫ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান (আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়নের পর এ কার্যক্রম শুরু করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।
এ আইনের আওতায় সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।
সরকার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে সরকার দ্রুততম সময়ে বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই সংস্থার আওতায় প্রতিষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ পদ্ধতি প্রয়োগ করার কার্যক্রম নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ