একদিনের রিমান্ড শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ আসামি নাজমুলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম তোয়াহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১২ এপ্রিল বিকেলে দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুন হোটেলে অভিযান চালিয়ে ঘুষ নেওয়া অবস্থায় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্সের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামীয় জাহাজের নকশা ও জাহাজ অনুমোদনের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন গ্রেফতার হওয়া প্রকৌশলী ড. এস এম নাজমুল হক। ঘুষের প্রথম কিস্তি তিনি অনেক আগেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়ার উক্ত প্রতিষ্ঠানটি দুদকে যোগাযোগ করলে তাকে ধরার ফাঁদ পাতে দুদক। পরে দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুন হোটেলে অভিযান চালিয়ে ঘুষ নেওয়া অবস্থায় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
১৩ এপ্রিল তাকে আদালতে আনা হয়। বিচারক ওইদিন জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে গ্রেফতার হওয়া প্রকৌশলী ড. এস এম নাজমুল হক সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি সেগুনে স্যুপ খাচ্ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। আমি কিছু জানি না।
এর আগেও ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে দুদকের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের আরেক প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার একেএম ফখরুল ইসলাম।
এই ঘটনায় দুদকের সহকারি পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এমআই/এএ