একইদসঙ্গে প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে ছয় আসামিকে।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) সদর থানার জিআর মামলা নং-২৪৭/৯৮ শুনানি শেষে ওই রায় দেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শফিউল আলম, বদিউল আলম, মনজুর আলম, কালিরছড়া এলাকার মুহাম্মদ আলমের ছেলে নুরুল আমিন, চান্দেরঘোনা এলাকার মুহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবু তাহের, ছালেহ আহমদ প্রকাশ ছালামত উল্লাহর ছেলে নবাব মিয়া ও মেহেরঘোনা এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে ছৈয়দুল আলম প্রকাশ শহীদুল।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-তৈয়ব প্রকাশ আবু তৈয়ব, নুরুল হুদা প্রকাশ জুইন্না, মুহাম্মদ টুলু, জয়নাল আবেদীন, বেলাল উদ্দিন প্রকাশ বেলাল ও শফি আলম।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার মৃত আলহাজ মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ছৈয়দ আলমের বসতবাড়িতে ডাকাতি করে। ওই ঘটনায় বাড়ির মালিক ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় ডাকাতির (জি.আর ২৪৭/৯৮ ) মামলা করেন।
সে মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ২০ বছর পর সেই মামলায় ওই সাতজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় দেওয়ার সময় আদালতে ৪ আসামি উপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে দু’জন সাজাপ্রাপ্ত।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. বদিউল আলম সিকদার বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
বাংলাদে সময়: ০৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
টিটি/এএটি