জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার বার্ষিক এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিনামূল্যে সরকারি সহায়তায় ২০১৭ সালে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৮ জন ব্যক্তি।
এদিকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট সেবা নিয়েছে ৮ হাজার ৫৮৪ জন। যার মধ্যে ২৯ শিশু, ৪ হাজার ৪৭৬ পুরুষ এবং ৪ হাজার ৭৯ জন নারী।
দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছে।
সরকারের এ বিনামূল্যে আইনি সহায়তার কর্মসূচি শুরু হয় ২০০৯ সালে। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ সংস্থাটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে সেবা দিয়ে আসছে।
এ সংস্থা থেকে ২০০৯ সালে বিনামূল্যে আইনি সেবা গ্রহণ করেছেন ৯ হাজার ১৬০ জন, ২০১০ সালে ১১ হাজার ২৬৬ জন, ২০১১ সালে ১২ হাজার ৫৮৬ জন, ২০১২ সালে ১৫ হাজার ৪৫০ জন, ২০১৩ সালে ১৯ হাজার ৪৯৩ জন, ২০১৪ সালে ২৫ হাজার ২৮৩ জন, ২০১৫ সালে ৩০ হাজার ৪০৯ জন এবং ২০১৬ সালে ৩৩ হাজার ৭৩৪ জন আইনি সেবা পেয়েছেন।
দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।
এ আইনের আওতায় সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র-অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।
সরকার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। বর্তমানে সরকার দ্রুততম সময়ে বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই সংস্থার আওতায় প্রতিষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিকল্পবিরোধ পদ্ধতি প্রয়োগ করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
ইএস/এসএইচ