বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত কুদ্দুস খুলনার পাইকগাছার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে কুদ্দুস ও সাতক্ষীরার খানপুরের পীরের মেয়ে মাশহুদা সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে লেখাপড়াকালে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ হয়। পরে মাশহুদা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ২০১২ সালের ২৩ জুন মাশহুদার বাবার আমন্ত্রণে তাদের বাড়িতে আসেন কুদ্দুস। রাতে বিবদমান সমস্যা নিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা হয়। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই ঘুমাতে যান। কুদ্দুস ছিল আলাদা রুমে। মাশহুদা ছিল তার মায়ের সঙ্গে। রাত ২টার দিকে কুদ্দুস মোবাইল ফোনে মাশহুদাকে ডেকে তার কক্ষে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর মাশহুদা পুনরায় মায়ের কাছে যেতে চাইলে কুদ্দুস বাধা দেন। এসময় মাশহুদা চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে কুদ্দুস তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ভোরে নিজেই সাতক্ষীরা সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
এ ঘটনায় মাশহুদার চাচা আব্দুল্লাহিল বাকী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দুপুরে বিচারক কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দাশ কার্তিক চন্দ্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
আরবি/