৪ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ আসামি নুর হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ এপ্রিল) শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার হুই এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর তার ও পোষ্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নুর হোসেনকে নোটিশ দেয় দুদক। নুর হোসেন কাশিমপুর কারাগারে থাকাবস্থায় ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। বিবরণীতে নুর হোসেন এক কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করেন।
কিন্তু দুদক অনুসন্ধানে দেখতে পায়, নুর হোসেনের দুই কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৪ টাকার স্থাবর সম্পদ ও এক কোটি ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্থাৎ মোট চার কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ রয়েছে। বিবরণীতে তিনি দুই কোটি ৮৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন করবর্ষে তার দেওয়া আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনা ও দুদকের অনুসন্ধানে তিন কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৮০৫ টাকার সম্পদের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলী আসামি নুর হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এমআই/এসআই