ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘অচিরেই সাতখুনের হাইকোর্টের রায় মিলবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
‘অচিরেই সাতখুনের হাইকোর্টের রায় মিলবে’ মাহবুবে আলম

ঢাকা: পনের আসামির ফাঁসি বহাল রেখে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় অচিরেই পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনার চার বছর পূর্তি হচ্ছে। তিন বছরের মাথায় গত বছরে ওই ঘটনার বিচারের দুটি ধাপ অতিক্রম করে।

এখন বাকি আছে শুধু আপিল বিভাগের চূড়ান্ত বিচার।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আসামি পক্ষের বক্তব্য হলো রায় এখনো পাওয়া যায়নি। এটা আগস্ট মাসে ঘোষিত হয়েছে। এখনো পাওয়া যায়নি, আশা করি অচিরেই এটা পাওয়া যাবে। পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই আপিল দায়ের করবেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। আপিল বিভাগে এটার প্রাথমিক শুনানি নয়, চূড়ান্ত হিসেবে আপিল শুনানি হবে। আপিল বিভাগে যা হবে সেটাই চূড়ান্ত ফল।

হাইকোর্টে যাদের দণ্ড কমেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কি না এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায় পেলে এটা দেখবো অবস্থা কী দাঁড়ায়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম।

সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।  

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।  

এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নুর হোসেন ছাড়া আসামি ওই তিন কর্মকর্তা হলেন, র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা।

এরপর মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ২২ আগস্ট নূর হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।