জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ঢাকা: বিচারাধীন মামলা বিশেষ করে যারা বিনাবিচারে কারাভোগ করছেন, তাদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কেউ যেন বিচারহীন না থাকে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখছে শেখ হাসিনা সরকার।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
‘‘আইনগত সহায়তা নিতে সবার আগে দরকার জনসচেতনতা। সেজন্য প্রচারণা প্রয়োজন। কারণ অনেকেই নিরক্ষর। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই এ দিবস,’ যোগ করেন আনিসুল হক।
ষষ্ঠবারের মতো দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশ। এবারের স্লোগান ‘উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ। ’
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।
তিনি বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সামর্থ্যবানরা নিজের খরচে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। কিন্তু অসমর্থ্যদের আইনগত সহায়তা দিতে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় আইনি দীর্ঘসূত্রতা কমানো গেছে, এখন এর সুফল পাচ্ছে জনগণ।
আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মো. জাফরোল হাছান বলেন, আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ কার্যকরের দিন অর্থাৎ ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
কেজেড/এমএ/