নীলফামারী: রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) পৌরসভায় তদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা শহরের রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণকারী দুজন ব্যবসায়ীর ভবন ও তৎসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। তাদের কাছ থেকে নির্মাণকল্পের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সংগ্রহ করেন।
দুদক রংপুর অফিসের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ এ ব্যাপারে বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ে ও পৌরসভার মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মামলা চলমান। আদালতের নির্দেশে ইতোপূর্বে একটা সংক্ষিপ্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এখন বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে। সেজন্যই আমরা সরেজমিনে এসেছি।
উপ-সহকারী পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, রেলওয়ের সাথে পৌরসভার লিজ চুক্তি শর্তানুযায়ী শুধু জমি ব্যবহার করতে পারবে। কোনো অবকাঠামো পরিবর্তন, সংস্কার বা নতুন নির্মাণ করা যাবে না। অথচ সব নিয়ম ভেঙে রেলওয়ের জমিতে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। এর সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির মালিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
রেলওয়ের জমিতে ভবন নির্মাণকারীদের মধ্যে একজন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, রেল ও পৌরসভার দ্বন্দ্বে মামলা যেখানে, সেখানে আমাদের বলার কিছুই নেই। আমরা পৌরসভা থেকে বরাদ্দ নিয়ে নকশা অনুমোদন করেই ভবন করেছি। তাই এতে আমাদের কোনো ত্রুটি নাই। তবুও দুদকে কে বা কারা অভিযোগ করেছে। সেজন্য তারা এ পর্যন্ত ১০ বার তদন্ত করেছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, আমার আমলে কোনো ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আর আমাদের তদন্তে দুদক আসেনি। বরং বহুতল ভবন নির্মাণকারীদের মধ্যে আলতাফ হোসেন ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের বহুতল ভবন বিষয়ে তদন্তে এসেছেন। ওই ভবনগুলোও ইতোপূর্বের মেয়র নকশা অনুমোদন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০২২
এমজে