ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ালেন বিএনপি নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়ালেন বিএনপি নেতা

গাজীপুর: কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়লেন বিএনপির নেতা আলী আজম।

জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু পুলিশ খুলে দেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন ও এলাকাবাসী।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামালার মামলায় কারাবন্দি হন বিএনপির এ নেতা।

হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ানো আলী আজম কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, বিএনপির নেতা আলী আজমের মা সাহেরা বেগম (৬৭) গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মারা যান। শেষবার মাকে দেখতে ও নিজে মায়ের জানাজা পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে বিএনপির এই নেতার। পরে সকালে জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবরিয়াচালা এলাকায় উপস্থিত হন তিনি। বেলা ১১টায় তিনি নিজে মায়ের জানাজা পড়ান। জানাজ পড়ানোর সময় বিএনপির নেতার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা খুলে দেয়নি।

মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন আলী আজম। এ ঘটনায়  ক্ষোভ প্রকাশ করেন জানাজায় উপস্থিত লোকজন। বিএনপির নেতা আলী আজমের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সাইয়েদুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

আলী আজমের ভাই আতাউর রহমান বলেন, জানাজা পড়ানোর সময় আলী আজমের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ খুলে দেয়নি।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, আলী আজমকে ৯ জন পুলিশ সদস্যসহ তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং জেল আইন অনুযায়ী তাকে পাঠানো হয়েছিল।

গত ২৯ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামালার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে  মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় বিএনপির নেতা আলী আজমকে। এ মামলায় আলী আজমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মান্নান শেখকে মামলার বাদী করা হয়।

ওই মামলার বাদি আব্দুল মান্নান শেখ বলেন, ঘটনা ও মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখানে এসআই আলাউদ্দিন ছিল। আমি ওই সময় দাওয়াতে ছিলাম। দাওয়াতে থেকে আমি মামলা করালাম কীভাবে? আমি ছিলামও না, দেখিও নাই।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
আরএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।