ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় তারিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের হাত ধরে একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
এই পালানোর অভিযোগে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) প্রেমিকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রেমিক ও প্রেমিকাই দুজনেই চতুল ইউনিয়নের হাসমদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তরিকুলের সঙ্গে পালিয়ে যায় কলেজছাত্রীটি। এ নিয়ে মেয়ের পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তরিকুলের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের মেয়ের খোঁজ জানতে চান তারা।
অভিযোগ, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তরিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে কলেজছাত্রীর স্বজনরা।
তরিকুলের বোন সীমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই ও ওই মেয়ে অনেক আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তারা দুজনে পালিয়ে গেছে। আমারা বাবা-মা ওদের খোঁজ জানতে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তল্লাশি করতে বেরিয়ে যায়। এ সুযোগে মেয়ের চাচতো মামা নাইম ও নাইমের বাবা-চাচারা মিলে আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে। মেয়ের পরিবারের লোকজন কখন কি করে বসে সে ভয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ’
তরিকুলের বাবা মুরাদ মোল্যা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি ছেলে-মেয়েন খোঁজ করতে বাড়ি থেকে তিন দিন আগে বের হয়েছি। তবে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ফোন করে জানান আমার বাড়ি ঘর কুপিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মূল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করেছে। আমি এর বিচার চাই। তবে আমি দূরে থাকার কারণে এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারিনি। ’
এ বিষয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে নাইমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি বলে।
কলেজছাত্রীর বড়ভাইকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। ’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘মেয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ছেলের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর বা লুটপাটের বিষয়ে জানি না। কেউ এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেননি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এসএএইচ