ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, বিপাকে পথচারীসহ পৌরবাসী

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, বিপাকে পথচারীসহ পৌরবাসী রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়।

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার কলেজ রোড সংলগ্ন দুই ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের শেষ সীমানায় রাস্তার পাশ দিনদিন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ পৌরবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া এখানে সব সময় ময়লায় উৎপন্ন মিথেন গ্যাসের আগুন জ্বলতে থাকে। পাশে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি তাতে রয়েছে তিনটি ট্রান্সমিটার, এ কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রতিনিয়ত আগুনে পুড়ছে রাস্তার পাশের বন বিভাগের বড় বড় গাছ।

পৌরবাসীর অভিযোগ, সেখান থেকে প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া বের  হচ্ছে তাতে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। তাছাড়া পাশেই রয়েছে দুটি মাদরাসা। ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন মোল্লা বলেন, এখানে ময়লা ফেলায় পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কারও পক্ষে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। আমরা নাক বন্ধ করেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করি। আমরা পৌরসভায় বার বার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।

সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের মাঝে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, আবাসিক এলাকা থেকে দূরে কোনো নির্জন স্থানে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত।

অটোবাইক চালক কামাল হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র ফেলা উচিত।

সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন জাকারিয়া রাস্তার পাশের ময়লা আবর্জনার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো ময়লা আবর্জনা ফেলার স্হান নেই। তাছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে অন্যত্র ময়লা ফেলা যায় কিনা চেষ্টা চলছে।

দুই নম্বর পৌরসভার কাউন্সিলর নাসির হোসেন বলেন, ওই জায়গা ছাড়া নগরকান্দা পৌরসভার ময়লা ফেলার আর কোথাও কোনো জায়গা নেই। তাই পৌরসভা থেকে বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা ফেলছে। তবে আমরা ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য জমি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অচিরেই এখান থেকে অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা যায় কিনা চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার তহবিলে আপাতত জমি কেনার মতো টাকা নেই। তাই জমি ক্রয় করতে পারছি না, তবে সরকারিভাবে জমি ক্রয়ের একটা প্রস্তাব পেশ করেছি সেটা পাস হলে আমরা জমি ক্রয় করে সেখানে দ্রুত ময়লা ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করবো। তাছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অন্য কোনো নিরাপদ যায়গায় ময়লা ফেলা যায় কি-না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।