ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

স্পিকারের সঙ্গে ইউকে পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
স্পিকারের সঙ্গে ইউকে পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এপিপিজির সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন এপিপিজি অন বাংলাদেশের সদস্য জনি রিনল্ডস, মোহাম্মদ ইয়াসিন, টম হান্ট ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের চলমান অভূতপূর্ব উন্নয়ন, বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষার দৃশ্যমান অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই পঞ্চাশ বছরে দুদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।

এপিপিজি অন বাংলাদেশের সভাপতি রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়।  

জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।

স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজস্ব জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে এবং বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায় তাদের মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি। সম্প্রতি ওআইসি পিইউআইসির প্রতিনিধিদল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গেছে, যা তারা রিপোর্ট আকারে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য কনফারেন্সে উপস্থাপন করবে।  

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে এপিপিজি অন বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।