ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভারত-অন্যান্য দেশের সঙ্গে করা সব অসম চুক্তি বাতিলের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
ভারত-অন্যান্য দেশের সঙ্গে করা সব অসম চুক্তি বাতিলের দাবি

ঢাকা: প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য যে কয়টি দেশের সঙ্গে কথা সব অসম ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। একইসঙ্গে সবধরনের চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ ও সংবিধান অনুযায়ী তা জাতীয় সংসদে পেশ করার দাবি করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি চুক্তি সই হয়েছিল। সেটি হাসিনা-মনমোহন চুক্তি নামে পরিচিত। এ চুক্তির নামে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিটের নামে করিডর নিয়েছে ভারত। পাশাপাশি মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে আধিপত্য বিস্তার করেছে।

এ চুক্তি যখন হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। তখন আমরা বলেছিলাম, এ চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী বাইরের যেকোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৩ বছরে এ চুক্তি এখন পর্যন্ত সংসদে পেশ হয়নি।

তিনি বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা রিয়াল অ্যাডমিরাল ইলিং এসেছিলেন। আমরা যা জানতে পেরেছি, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে তার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় এ সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য যে কোয়াড সেখানে বাংলাদেশকে যুক্ত হতে চাপ প্রয়োগ করছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনীতি মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের যে আধিপত্য সে বিষয়ে সরকার দল এবং বিরোধীদল কেউই কোনো কথা বলে না। কিন্তু আমরা জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এ সকল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ জানিয়েছি; জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি, বিরোধী দলগুলো যারা সরকার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তারাও এই সাম্রাজ্যবাদের ব্যাপারে নীরবতা পালন করে।

হাসিনা- মনমোহন চুক্তির ত্রয়োদশ বার্ষিকীতে এসে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশিদের যে হত্যা করা হয়, তার বিষয়ে সরকার কোনো প্রতিবাদ করে না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একদম নিশ্চুপ থাকে। কিন্তু নেপালে বিএসএফ’র গুলিতে নেপালের নাগরিক নিহত হয়েছিল। নেপালের নাগরিকরা তখন যে প্রতিবাদ করেছে, চাপে পড়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেপালের সরকার ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিল।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্র-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সব অসম ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী যত চুক্তি আছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

মানববন্ধনে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।