ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান 

ঢাকা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্বাভাসভিত্তিক পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ন্যাশনাল লেসনস লার্নড সেমিনার অন সাইক্লোন সিত্রাং-এ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করা অন্যান্য সংস্থার প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদরদপ্তরে এই সেমিনারের আয়োজন করে করা হয়। যৌথভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সেমিনারটির আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের পূর্বাভাস ও মোকাবিলার বিষয়ে শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করতে হবে, যাতে তাদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সতর্কতা হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় সাত নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছিল, এই কারণে বিপজ্জনক উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। আম্ফানের সময় আমরা ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারলেও সিত্রাংয়ের সময় অনেক কষ্ট করে মাত্র সাড়ে ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বারবার তার দিক পরিবর্তন করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবার সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, খুলনা অঞ্চল এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে বেঁচে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যখন স্থলভাগে আঘাত হানে, তখন ছিল ভাটার সময়। তাই জলোচ্ছ্বাস তেমন শক্তিশালী হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানে। তাই আবহাওয়া অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং দক্ষতার সঙ্গে সঠিক পূর্বাভাস দিতে হবে।

তিনি বলেন, সিত্রাংয়ের স্থলভাগে আঘাত হানা নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও আমরা সতর্ক ছিলাম এবং সন্ধ্যার আগেই উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলাম। যার কারণে মানুষ ও গবাদি পশুর ক্ষতি কম হয়েছে। তবে মৎস্যসম্পদ ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে আমরা সিত্রাং ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি।
 
তিনি আরও বলেন, সিত্রাংয়ের সময় যদি আমরা সময়মতো উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে না নিতে পারতাম, সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারতাম, তাহলে আরও অনেক মানুষ মারা যেত। এই বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর-উর-রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের (আইএফআরসি) হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুবা নাসরীন প্রমুখ।  

এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, সরকারি অধিদপ্তর ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩ ,২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।