ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাল্যবিয়েতে বাধা দেওয়ায় চাচার পরিবারকে হয়রানি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
বাল্যবিয়েতে বাধা দেওয়ায় চাচার পরিবারকে হয়রানি সংবাদ সম্মেলন।

মৌলভীবাজার: ভাতিজির বাল্যবিয়েতে বাধা দেওয়ার কারণে চাচার পরিবারকে মামলা করে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজারের জুড়ীর গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম শিলুয়া গ্রামের হারুন মিয়ার পরিবার।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জুড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।



ভুক্তভোগী হারুন মিয়া বলেন, তার আপন ভাই লোকমান আলী প্রায় ১ বছর আগে প্রবাসে মারা যান। ভাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। গত ২৪ ডিসেম্বর পরিবারের কাউকে না বলে আমার ভাবী, একমাত্র ভাতিজি মারজানা আক্তার ফাতেহাকে (১৬) পার্শ্ববর্তী আকতার মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। আমাদের ভাতিজির ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে আমি ও আমার ছেলেরা তাতে বাধা দেই।

আমার ভাতিজি শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বর্তমান বয়স ১৬ বছর ৫ মাস হওয়াতে আমরা বাল্যবিয়ে দিতে রাজি না হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে অবগত করি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাড়িতে জুড়ী থানার একদল পুলিশ পাঠান। বাড়ির পার্শ্বে মাগুরা বাজারে পুলিশ এলে ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বিষয়টি দেখবেন বলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন।

ওইদিন রাতে বর পক্ষের উপস্থিতিতে কন্যার মা আমাদের ভাতিজির বিয়ে দিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। বাল্যবিয়ে বন্ধের বিষয়টি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম অবগত রয়েছেন। বিয়ের পর ২১ জানুয়ারি আমাদের ভাতিজি তার নতুন বরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সাথে বরের চাচাতো ভাই রাসেলসহ ৭-৮ জন পুরুষ ছিলেন। বরের পক্ষ থেকে আসা লোকজন আমাদের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পর আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এরপর তারা জুড়ী থানায় আমাদের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় আমার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২২) জোবায়ের হোসেন (১৫) এবং আমার স্ত্রী আছমা বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়।

পুলিশ আমার ছেলে জুবায়েরকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। আমরা কোনোকিছু বুঝে উঠার আগে এ রকম ঘটনা হয়ে যায়। এর ভুক্তভোগী হয়ে আমাদের মামলা ঘাটতে হচ্ছে। তার পরিবারকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।