ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৪২ বাঁকের এক সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
৪২ বাঁকের এক সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

নীলফামারী: জেলা শহরের কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত সাত দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রাস্তাটি বাইপাস নয়, যেন এক মরণ ফাঁদ। এখান থেকে যেতে আঁকাবাঁকা মোড় পাড় হতে হয় ৪০ থেকে ৪২টি।

এলাকাবাসীর আন্দোলনের পর গত তিন বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।

জানা জানায়, কালিতলা ও মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে ৪২ মোড়ের দুই ধারে রয়েছে দোকান ও বসত বাড়ি। যার কারণে দুর্ভোগে পড়েন বাস, ট্রাক, ১০ চাকার লড়ি ও নাইটকোচসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহনগুলো। ঘটেছে অনেক ছোট বড় দুর্ঘটনাও। জেলা শহরটি এক রাস্তার ওপরে হওয়ায় যানজট নিরসনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে অনেক আন্দোলন করে বাইপাস সড়কটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর আর শেষ হয় ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সড়কটি ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে উদ্বোধন করা হয়। তবে জনগণ সেটির সুফল থেকে বঞ্চিত।

জেলা শহরের বড় বাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আবু সাইদ মিলন জানান, কালিতলা মোড় থেকে ওই সড়কটি চালু হলে (মূল) প্রধান শহরটি যানজট মুক্ত হবে। বিশেষ করে ঢাকাগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে সড়কটি ব্যস্ত থাকে। এ সময় জরুরি রোগী পরিবহনকারী ভ্যান, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্স শহরের মাঝপথে আটকা পড়ে যায়। আর দুর্ঘটনা তো আছেই।

জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার ট্রাকচালক মো. খতিবর রহমান খোকন জানান, কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪২টি মোড় অতিক্রম করতে হয়। বিশেষ করে বড় ট্রাক ও কোচগুলো বাইপাস সড়কের বাঁকগুলোতে ঘোরানো যায় না। মানুষের দোকানে ও বাসাবাড়িতে ঢুকে যায়। তাই সড়কটি সোজা করলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে ও শহরের লোকদের চলাচলে ঝুঁকি কমে আসবে।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এসএম শফিকুল আলম ডাবলু বলেন, বাইপাস সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় প্রায় তিন বছর আগে। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে আজ পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। কারণ ওই রাস্তা দিয়ে ১০ চাকার ট্রাক ও নাইটকোচ মোড় নিতে পারে না। আঁকাবাঁকা সড়কটি প্রশস্ত করা হলে যানবাহনগুলো অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। এতে শহরের মূল সড়কে চাপ অনেকটা কমবে।

নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, সাত দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে মোড় পড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪২টি। এটি সোজা করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বাইপাস সড়কটি চালু বা সোজা করতে গেলে প্রায় আট দশমিক চার একর জমির প্রয়োজন। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা চলছে। আশা করি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। তাহলে মূল শহর যানজট মুক্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।