ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেডিকেলে চান্স পাওয়া রিকশাচালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন মেয়র 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
মেডিকেলে চান্স পাওয়া রিকশাচালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন মেয়র 

রাজশাহী: বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞার ভর্তি ও পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু।

এরপর মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান তিনি।

রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছিল। পরে বিষয়টি রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।  

এ সুসংবাদে হাসি ফুটেছে চান মিঞা ও তার রিকশাচালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ এই চান মিঞার পরিবার।

চান মিঞার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুষঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরও এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা সিটি মেয়রের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চান মিঞার মা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র যদি এভাবে আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।

আর মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হই। কিন্তু পরক্ষণেই ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরে মেয়র স্যার তর সব দায়িত্ব নেন। তাই আমি ও আমার পরিবার এখন দুশ্চিন্তামুক্ত। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।