ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভাগ্য পরিবর্তনে পরিশ্রমের বিকল্প নেই: মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
ভাগ্য পরিবর্তনে পরিশ্রমের বিকল্প নেই: মেয়র

খুলনা: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন খুলনার সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

তিনি বলেন, দুঃসময়ে সহায়তা পেয়ে তা অবস্থার উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

সমাজের বেশিরভাগ ধনী মানুষ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। শুধুমাত্র মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন।

সোমবার (২০মার্চ) দুপুরে মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে রূপান্তর আয়োজিত উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ’র সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, বিসিক খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক তাহেরা নাসরিন, বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. মমিনুর রহমান, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির খুলনা বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু, জাতিসংঘ শিশু পার্ক উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু।

রূপান্তর-এর কর্মসূচি সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রূপান্তর-এর কর্মসূচি পরিচালক ফারুক আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।  

অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গল্লামারীর চা বিক্রেতা বুলু রাণী দাস, বেদে সম্প্রদায়ের নাজমা বেগম ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিউলি।

সিটি মেয়র তার বক্তব্যে খুলনা মহানগরীতে করোনার প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৭৪৩টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ এবং অর্থ সহায়তা দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য রূপান্তর এবং উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ড সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

খুলনা মহানগরীর ক্রিসেন্ট বাজারের রিক্তা নিজের তৈরি করা নকশিকাঁথাসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প নিয়ে, পূর্ব বয়রার নাছিমা বেগম নিজ হাতে তৈরি করা কেক নিয়ে, লবণচরার রেজাউল করিম তার কারখানায় উৎপাদিত ফুলঝাড়ু নিয়ে, গ্রীনল্যান্ড আবাসনের হাওয়া খাতুন সিমেন্টের বস্তা থেকে নিজ হাতে বানানো ব্যাগ নিয়ে, মুসলমানপাড়ার লাকি বেগম বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক চাটনি নিয়ে, রায়েরমহলের রাবেয়া বেগম চটপটি এবং ফুচকা নিয়ে এ পণ্য প্রদর্শনীতে অংশ নেন।  

এছাড়া প্রদর্শনীতে ৪৭টি স্টলে উদ্যোক্তারা তাদের পসরা নিয়ে উপস্থিত হন। খুলনা মহানগরীর ৭৪৩ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে এটা ছিল উদ্যোক্তাদের প্রতীকী উপস্থিতি। করোনায় প্রায় সব হারানো এসব প্রান্তিক মানুষ তাদের জীবন পাচ্ছেন নতুন গতি। আত্ম-কর্মসংস্থানে তারা স্থাপন করেছেন দৃষ্টান্ত। স্বপ্নহীন সেই সব চোখে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। সোমবার (২০ মার্চ) সংগ্রামী এসব প্রান্তিক মানুষের মিলন-মেলা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে। দিনব্যাপী এ উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় রূপান্তর পরিচালিত ‘করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি পুনর্বাসন উদ্যোগ’ (এসসিআরইএএম) প্রকল্পের পক্ষ থেকে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনে দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং স্থিতিশীল জীবিকা নির্বাহের জন্য ২৭০০ হতদরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খুলনা মহানগরের ৭৪৩ জন উদ্যোক্তাকে এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬১৬ জনই নারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।