নাটোর: নাটোরে বাড়ির পাশ থেকে খন্দকার ফরহাদ হোসেন (২৮) নামে এক কুলি শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলার হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ মিনারের পাশ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে বাড়ির পাশেই ওই স্থানে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ফরহাদ উপজেলার হয়বতপুর গ্রামের মো. মসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি হয়বতপুর বাজারে কুলি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহটি পড়েছিল। স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি বলেন, গতকাল দিনগত রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করে এ স্থানে ফেলে রেখে গেছে। কি কারণে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নিহতের ঘাড় ও পাঁজরে দুইটি আঘাত বা ফুটো চিহ্ন রয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এটি গুলিবিদ্ধের ঘটনাও ঘটতে পারে। কেবল ময়নাতদন্তের পর এর আসল কারণ জানা যাবে। স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদের সিসি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী লুৎফুন নাহার জানান, তার স্বামী প্রতিদিন কাজ কর্ম শেষে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার সময় বাড়ি ফিরেন। গতরাতে ফিরতে দেরি দেখে বার বার মোবাইলে ফোন করা হয়, কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না। পরে খুঁজতে বের হয়ে রাত দেড়টার দিকে হয়বতপুর বাজারে যাওয়ার সময় স্কুলের শহীদ মিনারের পাশে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেসময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতে গ্রাম পুলিশকে পাহারার দায়িত্ব দেন থানা পুলিশ। আজ সকালে তার স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি বলেন, রাতে পরপর দুইটি বিকট শব্দ শুনেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
আরএ