ঢাকা: ইন্টারগভর্মেন্টাল ওশনোগ্রাফিক কমিশনের রিজিওয়ানাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশানের (আইওসিইন্ডিও) সভাপতি পুনর্নিবাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৮-৩০ মার্চ আইওসিইন্ডিও’র ঢাকায় নবম আন্তঃসরকারি অধিবেশন শেষে বাংলাদেশ সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অধিবেশনে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হোন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইফ আল ঘাইস ও ইরানের মারিয়াম আল ঘায়েমি সহ-সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হোন।
বাংলাদেশ আইওসিইন্ডিও’র বর্তমান সভাপতি হিসেবে ২৮-৩০ মার্চ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নবম আন্তঃসরকারি অধিবেশন আয়োজন করে। ১৪টি দেশের প্রতিনিধি, আইওসি-ইউনেস্কো সচিবালয়, ইন্ডিয়ান ওশান কমিশন, সিরডাপ এবং বিশ্বব্যাংকের স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক ও প্রতিনিধিরা এ সেশনে অংশগ্রহণ করেন।
সেশনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কাতার, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ, সৌদি আরব এবং ইয়েমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী সেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অধিবেশনের প্রথম দিনে আয়োজক দেশের পক্ষে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মোমেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা, সংযোগ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত মহাসাগরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, প্রকল্প গ্রহণ এবং সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভারত মহাসাগরের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সুনির্দিষ্ট স্বার্থ ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে এ অঞ্চলের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে আহ্বান জানান।
অধিবেশনের শেষ দিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে সব প্রতিনিধিদের সভায় যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি রাষ্ট্রগুলোকে সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলরেখা ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক স্থানিক পরিকল্পনা, উপকূলীয় ভঙ্গুরতা ইত্যাদির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০৩০ সালের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। তিনি টেকসই, ন্যায়সঙ্গত এবং স্থিতিশীল সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ব্লু রিকাভারিকে এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
টিআর/এমএইচএস