ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে অপহরণের তিনদিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
ফরিদপুরে অপহরণের তিনদিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় অপহরণের তিন দিন পর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান।

অপহরণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর ১।  

উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রী বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সোতাসী গ্রামের শাহিন শেখ (১৯) নামে এক যুবক ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই ছাত্রী শাহিন শেখের কথা তার মাকে জানালে তারা শাহিন শেখের অভিভাবকদের কাছে নালিশ করেন। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টায় ওই ছাত্রী একই গ্রামের শিক্ষক আশরাফুলের কাছে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য বের হয়ে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় গেলে শাহিন শেখ ও সবুর শেখ ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে একটি মোটরসাকেলে উঠিয়ে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া সড়ক ধরে চলে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুর রহমান বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অপহরণ মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, ছাত্রীকে চতুল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে শনিবার (০১ এপ্রিল) সকালে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে প্রেমঘটিত। তবে উদ্ধারের পর মেয়ে দাবি করেছে তাকে অপরহরণ করা হয়েছে। তাই মামলা দায়ের শেষে ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।