বরিশাল: বরগুনায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. মজিবুর রহমান খানকে (৫০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে রাজধানী মিরপুর এলাকা থেকে মজিবুরকে আটক করা হয়। মজিবুর বরগুনা উপজেলার বেতাগী থানাধীন খাড়াকান্দা এলাকার মতিউর রহমান খানের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২৯ মার্চ সকাল ১০টার দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝিলবুনিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তার ১৪ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে পৌর এলাকার বাজার ব্রিজ এলাকায় যান। পরে ওই কিশোরীকে সেখানে রেখে তার বাবা রিকশা আনতে যান। ফিরে এসে তিনি তার মেয়েকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর জানাতে পারেন মজিবুর তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে গেছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরীকে বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির সামনের সড়কে দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। মেয়েকে উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন মজিবুর দুদিন তাকে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরীর বাবা মজিবুরকে প্রধান আসামি করে বেতাগী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, র্যাব বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ও আসামিকে আটক করতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা মজিবুরকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজিবুর এ ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনা জেলার বেতাগী থানায় হাস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র্যাব-৮ এর সিপিএসসি কোম্পানির অধিনায়ক (উপ-পরিচালক) মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, মজিবুর বেসরকারি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
এমএস/আরআইএস