ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না আরিফের 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না আরিফের  আরিফ

শরীয়তপুর: গ্রামের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঈদ করার কথা ছিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়ালকান্দী গ্রামের মৃত শাজাহান কাজীর ছেলে আরিফ কাজীর (২৫)।

এজন্য মা, বোন ও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের জন্য ঈদের নতুন পোশাকও কিনেছিলেন।

ঈদের নতুন পোশাক নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ার উদ্দেশে পদ্মা ট্রাভেলসের একটি বাসে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা হয়। আসার পথেই বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত হয় আরিফ।  

জানা গেছে, আরিফ ঢাকার ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। তিনি নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়ালকান্দী গ্রামের মৃত শাজাহান কাজীর ছেলে।

আরিফ মুন্সীগঞ্জের ষোলঘরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

বড় ভাই জুয়েল কাজী বলেন, আমরা দুই ভাই এক বোন, আরিফ ছোট। মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে ঢাকার ইসলাপুর থেকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগে মায়ের জন্য বোনের জন্য ও ভাগ্নে-ভাগ্নীদের জন্য ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনে। গতকাল আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বললে আমি ঈদের পরের দিন যাব বলে জানাই। তাই একাই সকালে রওনা হয় আরিফ।

প্রতিবেশী এমদাদ শিকদার বলেন, আরিফ একটা শান্ত ছেলে ছিল। আরিফকে ছোট রেখেই তার বাবা মারা যান। বড় ভাই বিয়ে করে ঢাকা থাকেন তাই অভাবের সংসারে বেশি পড়াশোনাও করতে পারে নাই। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে অল্প বয়সেই কাজের উদ্দেশে ঢাকা যান। আর আজ লাশ হয়ে ফিরলো আরিফ।

এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।