ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকেরা, বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিপাকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকেরা, বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিপাকে

কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আসছে।  

এই অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার ছাড়ছেন বেড়াতে আসা পর্যটকরা। তবে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন অনেক পর্যটক।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য় সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সৈকতের কর্মীরা কাজ করছেন।  

তিনি বলেন, এর মধ্যে কক্সবাজার উপকূলীয় ৩২ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে।  

এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ১২ ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।  

আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার খাতিরে শনিবার (১৩ মে) সকাল ৭টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। তবে এসময় আরও বাড়তে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে ট্রলারে করে টেকনাফে চলে এসেছে। আর যারা স্থানীয় দ্বীপবাসী রয়েছে তাদের স্থানীয় হোটেল রিসোর্ট এবং নৌবাহিনীর কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।  

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রস্তুতি সভায় ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এবং জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কুতুবদিয়া পেকুয়া মহেশখালী টেকনাফ এবং সদর এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দারা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। নৌবাহিনী কোস্ট গার্ড রেড ক্রিসেন্টসহ উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করছে। কক্সবাজার জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ১৩,২০২৩
এসবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।