ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ফরিদপুরে মহল্লার নাম ‘পাকিস্তান পাড়া’!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ফরিদপুরে মহল্লার নাম ‘পাকিস্তান পাড়া’!

ফরিদপুর: স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও ফরিদপুর শহরের আলীপুরে গুরুত্বপূর্ণ একটি মহল্লার নাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ডে ‘পাকিস্তান পাড়া’ লেখা রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মহল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এখনো কেনো স্বাধীন এই দেশের মানচিত্রের মধ্যে ‘পাকিস্তান পাড়া’ নাম  ব্যবহারের বিষয়টি স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ পাশাপাশি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত। যারাই এই দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।  

পৌর শহরের  ১০ নং ওয়ার্ডের মুজিব সড়কের পশ্চিম পাশে কুমার নদের পাড়ে ( জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনের এলাকাটি)  সড়কের নাম পৌর কর্তৃপক্ষ শাপলা সড়ক করলেও এখনো বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দেখা যায় এলাকার নাম লেখা রয়েছে পাকিস্তান পাড়া নামে। ( জননী এক্সপ্রেস, ইউএসবি কুরিয়ার সার্ভিস, এসআর পার্সেল সার্ভিসেস, একটি মুদি দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান)।

জানা যায়, স্বাধীনতার পরে ওই এলাকা পাকিস্তান পাড়া হিসেবে পরিচিত ছিল। বিভিন্ন সময় নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরে সেটি পরিবর্তন করে শাপলা সড়ক নামকরণ করা হয়।

এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামছুল আরিফিন সাগর জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে নোটিশ, মাইকিং করেছি এলাকাটির নাম পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে। তারপরও এখনো যদি কেউ পূর্বের নাম ব্যবহার করে তবে অবশ্যই সেটি অন্যায় হবে।

এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছি পাকিস্তান নাম ব্যবহার করার জন্য নয়। যারা বা যিনি এলাকাটির নাম এখনও পাকিস্তান পাড়া বলতে চেষ্টা করে, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা পরিষ্কার যে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু দুষ্টচক্র এ কাজ করার চেষ্টা করছে।

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ। তিনি বলেন, এই ধৃষ্টতা যিনি দেখিয়েছেন তাকে কোনভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে এর থেকে বড় অপমান আর কী হতে পারে?

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি গুরুতর। অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে সাইনবোর্ডগুলো অপসারণসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, মে, ২৪, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।