ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
‘বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে’ ফাইল ফটো

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অঞ্চলভিত্তিক লোকসংস্কৃতি আমাদের অতি মূল্যবান সম্পদ। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি, লোকগাঁথা কিংবা লোকসাহিত্য বিকশিত করার পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি, লোকগাঁথা কিংবা লোকসাহিত্যকে বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।

শনিবার (২৭ মে) ঢাকায় আইডিইবি ভবনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ফোরামের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে জাতীয় লোকসংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের অবদান শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।  

লোকসংস্কৃতির বিকাশে দেশের সব সাংস্কৃতিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলার লোকায়ত সাহিত্য, পুঁথি নিয়ে দীনেশচন্দ্র সেন যে ভূমিকা রেখেছেন তা আজও বহু গবেষককে প্রেরণা যোগায়। গ্রামের পিছিয়ে থাকা নিরক্ষর মানুষদের ভেতরেও সাহিত্যের যে ধারা বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে বাংলার মূল ধারার সাহিত্যের পরিচয় ঘটান তিনি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিশেষ করে গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে প্রবাহিত হাওরাঞ্চলের প্রাচীন জীবন গাঁথা মৈমনসিংহ গীতিকায় উঠে এসেছে। এটার যেমন সাহিত্য মূল্য আছে তেমনি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে রয়েছে এর নিবিড় সম্পর্ক। জারি-সারি, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি, বাউল গান, পালা গান, পুঁথিপাঠজুড়ে আছে বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে। বাঙালির এ প্রাচীন সম্পদকে রক্ষায় এগুলো চর্চা করতে হবে।  

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সংস্কৃতির মাধ্যমেই দেশ ও জাতি নিজস্ব পরিচয় ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বিশ্বের দরবারে উঠে আসে।

তিনি বলেন, হাওর-বাওড়, নদ-নদী, বনাঞ্চল ও গারো পাহাড় সমৃদ্ধ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল বাংলার লোকসংস্কৃতির অফুরন্ত ভাণ্ডার। এ লোকসংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলার লোকসাহিত্য বিকাশে অবদান রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।  

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।