ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর খুনির আশ্রয় পাওয়াটা অনুশোচনার’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
‘যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর খুনির আশ্রয় পাওয়াটা অনুশোচনার’

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি অনুশোচনার।

মঙ্গলবার (৩০ মে)  রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে (ইএমকে সেন্টার) যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, একজন খুনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আশ্রয় পেয়ে আছে, বিষয়টি সত্যি অনুশোচনার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।  

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীটি ছয়টি স্বতন্ত্র বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘স্বাধীনতাপূর্ব যোগাযোগ’ বিভাগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের তথা শুরুর দিকের অভিবাসী, শিল্পী, পণ্ডিত, স্থপতি, ডাক্তার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার আদি বীজ নিহিত আছে।

‘দাপ্তরিক সফর’ বিভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক সফর ও বৈঠকের ছবি দেখানো হয়েছে। ‘সহায়তা ও অবকাঠামো’ বিভাগে বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।

‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ বিভাগে গতিময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ‘শিক্ষা ও বিজ্ঞান’ বিভাগটিতে দেখা যায় বাংলাদেশি ও আমেরিকান বিজ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা গত কয়েক দশক ধরে বহু ধরনের গবেষণা প্রকল্পে কীভাবে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন।

‘সংস্কৃতি ও প্রবাসী সম্প্রদায়’ বিভাগটিতে উভয় দেশ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শনীটি আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন জনগণের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা গতিশীল বহুমাত্রিক সম্পর্ক লালন করি। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিকশিত হয়েছে এবং এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত বিস্তৃত।

করোনার টিকা এবং রোহিঙ্গাদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাহরিয়ার আলম।

রাষ্ট্রদূত পিটার বলেন, এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধনের স্মারক যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
টিআর/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।