জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম।
রোববার (১১ জুন) রাত ১০টায় মোবাইল ফোনে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন।
এর আগে রোববার সকালে কালাই উপজেলার দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে সিরাজুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সিরাজুল ইসলাম কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কাথাইল পাকুড়িয়া সিরাজুল উলুম হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, কয়েকদিন আগে থেকে হিসাব নিকাশ চাওয়াকে কেন্দ্র করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বাকী, মতিন, আরাবুলসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল সিরাজুলের। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহ আগে সিরাজুলকে ওই প্রতিষ্ঠানে সবার সামনে মারধর করেন বাকী।
নিহত সিরাজুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্ট করে আমার বড় ভাই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই মাদরাসার হিসাব নিকাশ চাইতে গেলেই তারা তেড়ে আসেন। ওই বাকীসহ আরও কয়েকজন আমার বড় ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চাই আমরা।
নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, কী অপরাধ করেছেন আমার স্বামী? আমাদের কোনো সন্তান নেই। যা কিছু করেছেন তা এলাকার মানুষের জন্যেই করেছেন। তারপরও তাকে কেন হত্যা করা হলো? এ হত্যার বিচার চাই।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, এক সপ্তাহ আগে মাদরাসায় সভা চলাকালীন হাতাহাতির ঘটনা সত্য। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি-না তা আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত দেড়টায় দিকে সিরাজুল আমার বাড়িতে এসে কথা বলে চলে যান। সকালে শুনতে পাই তার লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি তাকে তার প্রতিপক্ষরা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
আরএ