ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় জঙ্গিরা: এটিইউ প্রধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় জঙ্গিরা: এটিইউ প্রধান

ঢাকা: জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা ভয়াবহ রকম সক্রিয় বলে জানিয়েছেন অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন।

সোমবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরস্থ পুলিশ স্টাফ কলেজে 'উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আয়োজিত এক কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

এটিইউ প্রধান বলেন, জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই। জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কিছু নেই। আমরা দেখছি বর্তমানে জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়াবহ রকম সক্রিয়। অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার অনলাইন পেট্রোলিংয়ে বিষয়টি উঠে এসেছে।

বিভিন্ন অভিযান ও অনলাইন পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যও ভয়াবহ। আসলে জঙ্গিরা বসে নেই। আমরা আপাতত শান্তিতে আছি বলে জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কিভাবে একজন তরুণ জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার সুযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের আছে বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশ-সাংবাদিক সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ কি চায়? গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই। পুলিশ চায় পজিটিভ কাজগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসুক৷

পুলিশের নতুন ধারণা নিয়ে আমরা কর্মশালা করি। যাতে করে পুলিশের ইমেজ জনগণের সামনে সহায়ক হয়। আমরা জনসাধারণের নিরাপত্তা, সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করি। এই জায়গায় গণমাধ্যম ও পুলিশের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নাই। অপরাধ কমুক, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সেটা সবার কাম্য।

এটিইউ প্রধান বলেন, দেশ প্রেমের জায়গা থেকে আমরা যদি সবাই কাজ করি তাহলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু ঘটবে না। গণমাধ্যম যদি সংবাদ পরিবেশনের সময় এসব মাথায় রাখে, তবে সমস্যা হওয়ার কথা না।

তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় ঘটে। একটা আমরা তথ্য দেই, আরেকটা আপনারা সরেজমিনে গিয়ে সংগ্রহ করেন। হলি আর্টিজানে হামলার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সরাসরি সম্প্রচারের কারণে জঙ্গিরা ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জেনে গিয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।

এটিইউর ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের দেশের অনেক বড় বাধা। সরকার বিধি-বিধান সংবিধানের আলোকে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে। সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে।

জনগণ আমাদের পাশে আছে, পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। তবে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বেশি মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। যেটা আড়ালে থাকার সেটা আড়ালেই রেখেছেন। আসলে রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। এখানে দরকার কোর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন সহায়ক ভূমিকা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। কারণ, উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক বেশি কঠিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
পিএম/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।