ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল’র সেমিনারে বক্তাদের অভিমত

‘মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
‘মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

ঢাকা: প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা মনুষ্য-সৃষ্ট প্রাকৃতিক /পরিবেশগত বিপর্যয়ে স্থায়ী এবং কার্যকর সমাধানে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে অবশ্যই প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।  

এ লক্ষ্যে সরকারকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে ত্রাণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাস্তবসম্মত পন্থায় আন্ত:সংস্থা স্থায়ী কমিটি জাতিসংঘের (আইএসএসসি) নীতিমালা বাস্তবায়নের তাগিদ ব্যক্ত করেছে সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ত্রাণ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তকরণ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে।



হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল ও সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) আয়োজিত এ সেমিনারে উপস্থাপিত মূল নিবন্ধে তাদের অন্তর্ভুক্তিতে ‘আবশ্যিক করণীয়’ বিষয়গুলির বিষদ ব্যাখ্যা এবং পটভুমি তুলে ধরা হয়।  

বন্যা পরিস্থিতি ও সাইক্লোন বিপর্যয় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাণ কার্য পরিচালনা ওই তিনটি পরিস্থিতিতে সংস্থা দুইটি সম্যক ও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ উপস্থাপন তুলে ধরা হয়।

অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব উপলব্ধির আলোকে এ সেমিনারে বাংলাদেশ সরকার এবং মানবিক ত্রাণ-পুনর্বাসন ক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থাগুলো এবং দাতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।  

সেমিনারে বলা হয়, যেকোনো মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অন্যতম মূল নির্দেশিকা হিসেবে জাতিসংঘের আইএএসসি-গাইডলাইনকে অনুসরণ করা উচিত। যাতে উপকারভোগী এবং ত্রাণ পরিচালনাকারীদের মধ্যকার ক্ষমতার বৈষম্য দূর করে উপদ্রুত এলাকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে ত্রাণ কার্য পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যায়।  

কার্যক্রম শুরু করার আগেই এদের মতামতের ভিত্তিতে গোটা পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, নিরূপন, পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিবেচনায় রেখে তাদের অংশগ্রহণকে অর্থপূর্ণ করা সম্ভব হয়।

মানবিক ত্রাণকার্য পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সক্ষমতা চিহ্নিতকরণ এবং তথ্য ঘাটতি মোচনে এ সেমিনারে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত, আচরণগত ও কাঠামোগত অন্তরায়গুলো কাটিয়ে উঠতে একটি বিষদ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার তাগিদ দিয়ে সেমিনারে উপস্থাপিত মূল নিবন্ধে এ মর্মে সুপারিশ করা হয়।

মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর উচিত তাদের সহজ ব্যবহার উপযোগী আশ্রয়কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের নকশা প্রণয়নে সার্বজনীন নকশা ও নির্মাণ নীতিমালা নেওয়া হয়।  

মূল নিবন্ধে মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রতি যোগাযোগ উপকরণ এবং সরঞ্জামাদির জন্য বিনিয়োগের তাগিদ দিয়ে বলা হয়।

এ মৌলিক যোগাযোগ উপকরণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য করা এবং সেবাকর্মে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান সব স্টেকহোল্ডারদের সরকার-নির্মিত বিপর্যয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে স্থাপনাগুলোকে তাদের জন্য আরও সহজলভ্য ও নাগালের মধ্যে আনার জন্য উপদেশ ও সুপারিশ কামনা করেন।  

সেমিনারে প্যানেল বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান খান, জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআরের প্রোটেকশন অফিসার জোহানা রাইনা পিকালুয়া, অক্সফ্যাম-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ ডিমলে এবং নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টের ওয়েনডি ম্যাক-ক্যান্সি।

সেমিনারে তারা মূল-নিবন্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেমিনারের আয়োজক সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টান্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজেশ চন্দ্র এবং ব্যুরো অব পপুলেশন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেশনের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ম্যাকেঞ্জি রোয়িও বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।