ঢাকা: লম্বা ১০ ফুট এবং উচ্চতা ছয় ফুট। সোজা হয়ে দাঁড়ালে মনে হয় যেন আস্ত হাতি।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ‘সিংহরাজ’ নামের এই গরুটিকে ঘিরে ভিড় করে আছে উৎসুক জনতা। কেউ মোবাইলে গরুর ছবি তুলছেন, কেউবা সেলফি, কেউবা আবার গরুর কাছে গিয়ে একটু ধরে দেখছেন, আদর করছেন। কেউ কেউ কৌতূহল মেটাতে গরুর মালিকের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরেই সিংহরাজকে নিয়ে আফতাবনগর পশুর হাটে এসেছেন এর মালিক মোজাম্মেল হক। সঙ্গে এসেছেন তার দুই ছেলে ও চাচাতো ভাই। তাদের বাড়ি নওগাঁর মান্দা থানার পাইকপাড়া গ্রামে।
মোজাম্মেল হক জানান, সিংহরাজের বয়স চার বছর। জন্মের পর থেকেই তিনি এই গরুটিকে লালন-পালন। তার কাছে থাকা একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে এই গরুটির জন্ম হয়েছে। এমনকি এটি তার কেনা গরুর প্রথম বাছুর।
সিংহরাজকে প্রতিদিন এক হাজার টাকার খাবার খাওয়ান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ভুসি, খৈল, খড়, ফিডসহ এক হাজার টাকা খাবার খাওয়াতে হয় এই গরুকে। এটাকে আমি আমার সন্তানের মতো করে জন্ম থেকে এই পর্যন্ত বড় করেছি। কিন্তু এখন খাবারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।
গরুটির দাম ১২ লাখ টাকা চাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আনার পর থেকে এখনও কেউ দাম বলেনি। তবে কিছু কম-বেশ হলে বিক্রি করে দেব। আমি এই একটাই গরু নিয়ে আসছি। তাই বিক্রি হলেই চলে যাব।
হাটে আসার পর থেকে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মানুষজন আমার গরু দেখতে আসছে, খুবই ভালো লাগছে। তবে দুই একজন ক্রেতা এলে আরও ভালো লাগত। আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যে এটি বিক্রি হয়ে যাবে।
এদিকে সিংহরাজকে দেখতে দুপুরের পর থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। তাদের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. শাহীনুর রহমান। তিনি বলেন, এত বড় গরু দেখতেই ভালো লাগে। তাই অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দেখছি। তবে এটা ভেবেই তাজ্জব লাগছে কীভাবে এই গরুকে জবাই করবে।
সাত ও তিন বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে হাটে আসা রোজিনা বেগম অনেকক্ষণ ধরে সিংহরাজকে দেখলেন। সিংহরাজের ছবি তুললেন। তিনি বলেন, সুযোগ থাকলে আমি নিজেই এই গরু কিনতাম। এর থেকে বড় গরু এখনও হাটে দেখিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসসি/এসআইএ