ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, এখন সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, এখন সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন

ঢাকা: বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। এ বৃহৎ কর্মক্ষম মানুষের সমন্বয়ে ও বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টায় আমাদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে।

তবে এখন আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ: স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, এটা অনেকেই ভাবেন যে শহরাঞ্চলে যারা থাকেন তারাই মেধাবী হবেন, রোল প্লে করবেন, উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। আর যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকবেন তারা বঞ্চিত হবেন, এটা তো ঠিক না। এটা আপনাদের ভুল ধারণা। আমাদের সব জায়গাতেই পৌঁছাতে হবে। এটা অনেকেই ভাবেন যে সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় বা শিক্ষাখাতে বাজেটে কম বরাদ্দ রাখছে। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। আমাদের সব জায়গাতেই হিসাব করে বরাদ্দ দিতে হয়।  

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা বড় পরিবর্তন আসছে। এটা নিয়ে অনেক বড় বড় ব্যক্তিরা কাজ করছেন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিন্তু অনেক কাজ হয়েছে। পেছন ফিরে তাকালেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন। অর্থনৈতিক পরিবর্তন আমাদের হয়েছে। এখন আমাদের মোটিভেটেড হওয়া দরকার। কালচারাল চেঞ্জ দরকার। আমাদের একে অন্যকে সম্মান করতে হবে। শ্রদ্ধা করতে জানতে হবে। এটার জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিডিপির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।  

তিনি জানান, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ নেই। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের গড় সংখ্যা ছয়জন, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:২৯ জন। এছাড়া জরিপে ৩০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ে পাঁচটির কম শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটির বেশি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে এবং বাকি আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটি করে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।  

এতে বক্তারা বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে ক্রমান্বয়ে যথাযথ সুযোগ-সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা দরকার। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানো ও প্রতিটি শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার বলেও জোর দাবি করেন তারা।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।