নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের হাইওয়ে পুলিশের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) শরফুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মাস্ক পরে বিক্ষোভ করে ‘হকার ও পরিবহন ব্যবসায়ীরা’।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু যারা বিক্ষোভ করেছেন, তারা আসলে কারা এ নিয়ে উঠে প্রশ্ন। করেছেন স্বয়ং ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) শরফুদ্দিন। তার দাবি, বিক্ষোভকারীরা হকার নন। বিক্ষোভের বদলে তাদের মাস্ক পরিয়ে ফটোসেশন করে মিথ্যা রটানো হয়েছে।
শিমরাইল মোড়ে যারা নিজেদের হকার ও পরিবহন ব্যবসায়ীর দাবি করে বিক্ষোভ করেছে তারা বলেছেন, এক এক বার উচ্ছেদ করলেই টিআইকে পুনরায় এককালীন টাকা দিয়ে বসতে হয়। টাকা না দিলেই পুলিশ এসে উচ্ছেদ করে। এছাড়া পুলিশের নামে তিন শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক হারে চাঁদা নিয়েও হকারদের বসতে দিচ্ছে না। আমরাও মানুষ আমরা কাজ করে খেতে চাই।
পরবর্তীতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুজন লোক তাদের জড়ো করে বলেন তোরা মাস্ক পরে ব্যানার নিয়ে দাঁড়া, বিক্ষোভ কর। তোদের ছবি তুলি। তাহলে তোরা ব্যবসা করতে পারবি। এ জন্য তারা মাস্ক পরে ছবি তোলেন।
আবুল হোসেন নামে এক হকার টিআই শরফুদ্দিনের অপসারণের দাবি করে নানা অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ। টিআই কীভাবে টাকা আদায় করেন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি বলেন, টাকার বিষয়ে তো আমি জানি না। আমরা একজনকে দিই, তিনি টিআই’র কথা বলে নেন। সেই আমাদের বিক্ষোভ করতে এনেছে।
ওই লোকটি কে জানতে চাইলে আবুল বলেন, আমি নিরীহ মানুষ আমাকে বাদ দেন।
এ বিষয়ে কথা হলে টিআই শরফুদ্দিন বলেন, মাস্ক পরিহিত কিছু লোককে জোর করে বিক্ষোভ করতে এখানে আনা হয়েছিল। অসৎ লোকেরা তাদের ছবি তুলে ফেরত পাঠিয়েছে। আমি তো রাস্তার ওপর দোকানপাট বসতে দিতে পারি না। হকারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে মহাসড়ক যানজট মুক্ত করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। মাস্ক পরিয়ে কয়েকজনকে দিয়ে একটি ছবির বিপরীতে মহাসড়কের যানজটমুক্ত রাখা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
এমআরপি/এমজে