সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় দাড়ি কামাতে দেরি হবে বলায় এক নরসুন্দর ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ ওরফে ডনের (৫২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনি ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চালাপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংখ্যালঘু নরসুন্দরের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগ থেকে শহিদ ওরফে ডনের পদ বহিষ্কারের দাবি জানায়।
ভুক্তভোগী নরসুন্দরের নাম বাবুল চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বাদল চন্দ্র শীল। গত মঙ্গলবার(৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের বাদল হেয়ার কাটিং দোকানে তিনি ডনের মারধরের শিকার হন। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে তার পরিবার।
বাবুলের শাশুড়ি সোনামতি শীল প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার মেয়ের জামাই ও নাতিকের মারধরের বিচার চেয়েছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বানও জানান তিনি।
মারধরের এ ঘটনার অন্যান্য আসামিরা হলেন- কোনাপাড়া এলাকার আশরাফ (৩৫), হিমেল (৩২) ও অজ্ঞাত ২-৩ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবুল তার দোকানে অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। এ সময় ডন এসে তার দাড়ি কামাতে বলেন। বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বললে শহীদ চড়াও হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি জুতা দিয়ে মারতে থাকেন। বাবুলের ছেলে বাদল বাবাকে মারতে দেখে প্রতিবাদ করলে শহীদ ও তার সহযোগীরা তাকেও কাঠ দিয়ে মারধর করেন। বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ক্যাশবাক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদলকে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ৮ জুলাই , ২০২৩
এসএফ/এমজে
