ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের অষ্টম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৩টি মামলায় ৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।  

রোববার (১৬ জুলাই) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

তিনি জানান, অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে মশকবিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় চারটি ভবন মালিককে চারটি মামলায় ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত মাজার রোড এলাকায় অভিযান চালান আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুটি ভবনের মালিককে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রায় ১১০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া লার্ভা ধ্বংস করা হয়।  

অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার।   

মকবুল হোসাইন জানান, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে পাঁচটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফার্মগেটে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান।  

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।  

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ ৪৬০টি স্পট পরিদর্শন করা হয়।  

অঞ্চল-১ আওতাধীন খিলখেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ সময় লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়।

এছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানে রোববার পর্যন্ত আটদিনে মোট ১২০টি মামলায় ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সব বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। ১০টি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।